Breaking









Showing posts with label GEOGRAPHY-CLASS -10. Show all posts
Showing posts with label GEOGRAPHY-CLASS -10. Show all posts

Oct 5, 2024

October 05, 2024

class 10 exam বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং বারিমন্ডল

 class 10 exam

বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং বারিমন্ডল



এক নাম্বারের প্রশ্ন

1. আরোহন এবং অবরোহন প্রক্রিয়ার সম্মিলিত ফল কে কি বলে? 

2. যে প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপের উচ্চতা কমে তাকে কি বলে? 

3. ক্ষয়সীমা কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেন। 

4. সমুদ্রের জলরাশি যখন একই স্থানে থেকে ওঠা নামা করে তখন তাকে কি বলে? 

5. শৈবাল সাগর সৃষ্টি হয়েছে কোন মহাসাগরে। 

6. সমুদ্র জলের এক স্থান থেকে অন্য স্থানের প্রবাহ কে কি বলে? 

7. জাপান স্রোতের অন্য নাম কি? 

8. পৃথিবীর বৃহত্তম মগ্নচড়া কোনটি। 

9. সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান কারণ কি? 

10. সমুদ্রের ভাসমান স্তুপ কে কি বলে? 


দুই নম্বরের প্রশ্ন। 

1. হিমপ্রাচীর কাকে বলে। 

2. শৈবাল সাগর কি? 

3. সমুদ্রস্রোত কাকে বলে। 

4. মগ্ন চড়া কাকে বলে। 

5. জলবিভাজিকা কি? 


পাঁচ নম্বরের প্রশ্ন। 

1. নদীর ক্ষয়জাত তিনটি ভূমিরূপ চিত্র সহ বিবরণ দাও। 

2. সমুদ্র স্রোত সৃষ্টির কারণ গুলি আলোচনা করো। 

Oct 2, 2024

October 02, 2024

class 10 exam বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং বারিমন্ডল

 



class 10 exam

বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং বারিমন্ডল


এক নাম্বারের প্রশ্ন

1. আরোহন এবং অবরোহন প্রক্রিয়ার সম্মিলিত ফল কে কি বলে? 

2. যে প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপের উচ্চতা কমে তাকে কি বলে? 

3. ক্ষয়সীমা কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেন। 

4. সমুদ্রের জলরাশি যখন একই স্থানে থেকে ওঠা নামা করে তখন তাকে কি বলে? 

5. শৈবাল সাগর সৃষ্টি হয়েছে কোন মহাসাগরে। 

6. সমুদ্র জলের এক স্থান থেকে অন্য স্থানের প্রবাহ কে কি বলে? 

7. জাপান স্রোতের অন্য নাম কি? 

8. পৃথিবীর বৃহত্তম মগ্নচড়া কোনটি। 

9. সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান কারণ কি? 

10. সমুদ্রের ভাসমান স্তুপ কে কি বলে? 


দুই নম্বরের প্রশ্ন। 

1. হিমপ্রাচীর কাকে বলে। 

2. শৈবাল সাগর কি? 

3. সমুদ্রস্রোত কাকে বলে। 

4. মগ্ন চড়া কাকে বলে। 

5. জলবিভাজিকা কি? 


পাঁচ নম্বরের প্রশ্ন। 

1. নদীর ক্ষয়জাত তিনটি ভূমিরূপ চিত্র সহ বিবরণ দাও। 

2. সমুদ্র স্রোত সৃষ্টির কারণ গুলি আলোচনা করো। 

Jun 10, 2023

June 10, 2023

History -10- vvi--DIPENDU MONDAL-- geographywithdip.blogspot.com



History -10

Date- 10/06/23

DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

1.  শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ কীরকম ছিল?

উত্তর ---শ্রীরামকৃষ্ণ দেব বলেছেন—'যত মত ততো পথ'। অর্থাৎ প্রত্যেক ধর্মের মধ্যে সত্য আছে, প্রত্যেক ধর্মের মধ্যে দিয়ে ভগবানকে পাওয়া যায়। তাঁর এই মতবাদ এবং ধর্মীয় আদর্শ ধর্ম ও সামাজিক ক্ষেত্রে সহনশীলতার পরিবেশ তৈরি করেছিল।

2. মেকলে মিনিট কী ?

উত্তর ---1813 খ্রিস্টাব্দের সনদ আইন অনুসারে ভারতীয় শিক্ষাখাতে বার্ষিক এক লক্ষ টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অর্থ প্রাচ্য না পাশ্চাত্য কোন খাতে ব্যয় হবে তা নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বের অবসানে ব্যাবিংটন মেকলে পাশ্চাত্য শিক্ষাখাতে এই অর্থ ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেন1835 খ্রিস্টাব্দে। এই প্রস্তাবটি মেকলে মিনিট নামে পরিচিত।

 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

3. কারা, কবে জাস্টিস পার্টিপ্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর --মাদ্রাজের ভেলান' নামে দলিত শ্রেণির মানুষেরা 1916 খ্রিস্টাব্দে জাস্টিস' পার্টি প্রতিষ্ঠা করে।

 


4. ভারতে জাতীয়তাবোধের বিকাশে গোরাউপন্যাসের অবদান লেখো।

উত্তর ---রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গোরা' উপন্যাসের মধ্য দিয়ে জাতীয় চেতনায় অখণ্ডতাবোধ, দেশপ্রেম জাগ্রত করা, ধর্ম ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন যা দেশের জাতীয়তাবোধকে জাগ্রত করতে সহায়ক হয়েছিল।

 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

5. কারা, কেন সিপাহি বিদ্রোহকে সামন্তশ্রেণির বিদ্রোহ বলেছেন?

উত্তর --1857 খ্রিস্টব্দের বিদ্রোহে সিপাহি ছাড়াও জমিদার, প্রাদেশিক শাসক সহ সামন্তশ্রেণির মানুষেরা ব্যাপকভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই কারণে ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার, রজনীপাম দত্ত প্রমুখ এই বিদ্রোহকে সামন্তশ্রেণির বিদ্রোহ বলেছেন।

 

6. 1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে কারা, কেন প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন?

উত্তর --1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহে ভারতীয়রা জাতীয়তাবোধ উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়। এইজন্য বিনায়ক দামোদর সাভারকর এই বিদ্রোহকে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন।

 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

7. শ্রীনিকেতন কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর-- গ্রামীণ সমাজকে স্বনির্ভর করতে ও সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। এই কাজে তাঁর প্রধান সহায়ক ছিলেন কালীমোহন ঘোষ।

 

8. বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব সায়েন্স’-এর ভূমিকা কী ছিল ?

উত্তর-- বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে এর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, শারীরবিদ্যা, ভূবিদ্যা প্রভৃতি বিশুদ্ধ বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণায় সহায়তা করা এবং ছাত্রদের মধ্যে বিজ্ঞানচর্চার স্পৃহা জাগিয়ে তোলা।

 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

9. চার্লস উইলকিস কে ছিলেন?

উত্তর--- চার্লস উইলকিস ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে রাইটার হিসেবে যোগদান করেছিলেন। বাংলা মুভেবল টাইপ বা বিচল হরফের আবিষ্কর্তা হিসেবে চার্লস উইলকিসের নাম সুপ্রতিষ্ঠিত। চার্লস উইলকিন্সকে বাংলা মুদ্রণশিল্পের জনকবলা হয়।

10. তেভাগা আন্দোলন কী?

উত্তর --1937 খ্রিস্টাব্দে ফ্লাউড কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, বাংলার বহু কৃষক পরিবারের কৃষিজমিতে কোনো অধিকার নেই। এই কমিশনের সুবাদে ভাগচাষিরা তিন ভাগের এক ভাগ ফসল জমা দেবে বলে স্থির হয়, যা তেভাগা নামে পরিচিত।

 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

11. হাজি মহম্মদ মহসিন স্মরণীয় কেন?

উত্তর ---হাজি মহম্মদ মহসিন ছিলেন বাংলার একজন ধর্মপ্রাণ ও মহান জনহিতৈষী ব্যক্তি। তিনি তাঁর বিশাল সম্পত্তি বিভিন্ন জনহিতৈষী কাজে ব্যয় করেন। পরে সরকার মহসিন ফান্ডকরে জনহিতৈষী বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যায়।

 

12.  মানবেন্দ্রনাথ রায় কে ছিলেন?

উত্তর --মানবেন্দ্রনাথ রায় ছিলেন ভারতের একজন বামপন্থী স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁর প্রকৃত নাম নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তিনি 1920 খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার তাসখন্দে ভারতের কমিউনিস্ট পাটি প্রতিষ্ঠা করেন।

 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

13.   কাদের নিয়ে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করা হয়?

উত্তর --1929 খ্রিস্টাব্দে 33 জন শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করে। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মুজাফ্ফর আহমেদ, এস.এ. ডাঙ্গে প্রমুখ ।

 


14.   সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হলো কেন?

উত্তর ---ভবানী পাঠক, দেবী চৌধুরাণী, মুশা শাহের পরবর্তী যোগ্য নেতার অভাব, যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধা, সাম্প্রদায়িক বিভেদ, বিদ্রোহীদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাব এবং কোম্পানির আক্রমণে সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল।

 

 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

15. ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে দ্বিজবলার কারণ কী ?

উত্তর --প্রথমে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের নেতৃত্বে 1920 খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার তাসখন্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ারের নেতৃত্বে 1925 খ্রিস্টাব্দে ভারতের কানপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। দুবার প্রতিষ্ঠার ফলে কমিউনিস্ট পার্টিকে দ্বিজবলা হয়।

 


16. রশিদ আলি দিবস কেন পালিত হয় ?

উত্তর ---ব্রিটিশ সরকারের বিচারে আজাদ হিন্দ ফৌজের ক্যাপ্টেন আব্দুল রশিদ আলিকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে কলকাতায় রশিদ আলির মুক্তির দাবিতে রশিদ আলি দিবস পালন করা হয় 1946 খ্রিস্টাব্দের 12 ফ্রেব্রুয়ারি।

 

17.  পুনা চুক্তির শর্ত কী ছিল?

উত্তর--- হিন্দুদের মধ্যে বর্ণহিন্দু ও অনুন্নত হিন্দুদের পৃথক নির্বাচনের নীতি পরিত্যাগ করা। কেন্দ্রীয় আইনসভায় দলিতদের জন্য 18 শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।

 




 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

18.  সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি কাকে বলে?

উত্তর --অনুন্নত হিন্দু বা দলিতদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে 1932 লের 16 আগস্ট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামজে ম্যাকডোনাল্ড প্রত্যেক সম্প্রদাযের জন্য পৃথক নির্বাচনের নীতি ঘোষণা করেন। একে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি বলা হয়।

 


 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

Jun 4, 2023

June 04, 2023

কৃষিকাজ -Class- 10- Geography -Date- 4.6.23 -DIPENDU MONDAL - geographywithdip.blogspot.com

  


Class- 10- Geography
Date- 4.6.23

DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

DIPENDU MONDAL

(M.A , B.ED , NET )

WHAT’S APP  NUMBER -8972917151

কৃষিকাজ বলতে কী বোঝো?

 উত্তর --সাধারণভাবে কৃষিকাজ বলতে জমিকে কর্ষণ করে (কৃষি শব্দটি এসেছে সংস্কৃত কৃষ ধাতু থেকে, যার অর্থ কর্ষণ করা) ফসল উৎপাদনকে বোঝায়। 

      জিমারম্যান প্রদত্ত কৃষির সংজ্ঞাটি হলস্থায়ীভাবে জমিতে বসবাস করে মানুষ যখন উদ্ভিদ ও প্রাণীর স্বাভাবিক জন্ম ও মৃত্যুকে কাজে লাগিয়ে উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীজ দ্রব্য উৎপাদন করে তখন তাকে কৃষিকাজ বলে।

বৈশিষ্ট্য : --এটি প্রাথমিক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের অন্তর্গত। প্রকৃতির নিবিড় সাহচর্যে থেকে কৃষিকাজ সম্পাদন করা হয়। ও জলবায়ুর অবস্থা, মৃত্তিকা ও ভূমির প্রকৃতি অনুসারে কৃষিকাজ পদ্ধতি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন হয়।

 

 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

 

মিলেটকে কষ্টসহিষু ফসল' বলা হয় কেন?

উত্তর-- জোয়ার, বাজরা, রাগি এই তিনটি ক্ষুদ্র ও নিকৃষ্ট প্রকৃতির দানাশস্যকে একত্রে মিলেট বলে। মিলেটকে কষ্টসহিষু ফসল বলে

কারণচরমভাবাপন্ন জলবায়ুতে যেখানে অন্য কোনো ফসল উৎপাদিত হওয়া সম্ভব নয়, সেখানে মিলেট চাষ করা হয়।  মিলেট যে উন্নতা (25°C-30°C) সহ্য করতে পারে তা অন্য ফসলের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়।  অত্যন্ত শুষ্ক পরিবেশে (বৃষ্টিপাত মাত্র 40-50 সেমি) মিলেট জন্মাতে পারে। অনুর্বর মাটিতেও মিলেট জন্মাতে পারে। যে-কোনো ভূ-প্রকৃতিতে এদের চাষ সম্ভব।

 

ভারতের কৃষিকাজে পশুশক্তির প্রাধান্য দেখা যায় কেন?

উত্তর-- ভারতের কৃষিকাজে পশুশক্তির প্রাধান্য দেখতে পাওয়ার কারণগুলি হলভারতের অধিকাংশ কৃষক অশিক্ষিত হওয়ায় এখনও তারা আদিম প্রথায় লাঙল, মই প্রভৃতি প্রাচীন কৃষি যন্ত্রপাতির সাহায্যে পশুশক্তি ব্যবহার করে কৃষিকাজ করে।  ভারতের কৃষিজোতগুলি ক্ষুদ্রাকৃতির হওয়ায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যায় না। তাই পশুশক্তির ওপর নির্ভর করে কৃষিকাজ করতে হয়।


ভারতের কৃষিকাজ জীবিকাসত্তাভিত্তিক কেন?

উত্তর-- জীবনধারণের জন্য যে কৃষিকাজ করা হয়, তাকে জীবিকাসত্তাভিত্তিক কৃষি বলা হয়। এইপ্রকার কৃষিতে উৎপাদিত ফসল কৃষকের নিজের প্রয়োজন মেটাতেই নিঃশেষ হয়ে যায়। ভারতের কৃষকদের মধ্যে বেশিরভাগ দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং তাই তারা উৎপাদিত ফসল নিজেদের পরিবারের চাহিদা মেটাতেই ব্যবহার করে। অর্থাৎ, জীবনধারণই ভারতের কৃষিকাজের মূল লক্ষ্য। সেই কারণেই ভারতের কৃষিকাজ জীবিকাসত্তাভিত্তিক।

 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com


ভারতের কৃষিজোতগুলি ক্ষুদ্রাকৃতি হয় কেন?

উত্তর --ভারতের কৃষিজোতগুলি ক্ষুদ্রাকৃতির। ভারতে কৃষিজোতগুলির গড় আয়তন মাত্র 0.19 হেক্টর। কৃষিজোতগুলি এরকম ক্ষুদ্রাকৃতির হওয়ার কারণগুলি হল ভারতে জনসংখ্যার চাপ অত্যন্ত বেশি। 

     তাই ভারতে কৃষিজমির পরিমাণ বেশ কম। ভারতে কৃষিজমির মালিকানা নির্ধারিত হয় উত্তরাধিকার সূত্রে। তাই এই অল্প পরিমাণ কৃষিজমি পুরুষানুক্রমে ভাগ হতে হতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হয়েছে।

 

 

অর্থকরী ফসল কাকে বলে? ভারতে উৎপন্ন অর্থকরী ফসলগুলির নাম করো।

উত্তর-- যেসব ফসল বিক্রি করে কৃষকদের অর্থাগম হতে পারে, তাদের অর্থকরী ফসল বলে।

বৈশিষ্ট্য :-- 1. বাজারে বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করা এই ফসল চাষের প্রধান উদ্দেশ্য।

2.  এই সমস্ত ফসল প্রকৃতপক্ষে বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। তাই এদের বাণিজ্যিক ফসলও বলে।

3. এই ফসল চাষ করে অর্থাগম হয় বলে কৃষকদের অবস্থা স্বচ্ছল হয়।

ভারতের অর্থকরী ফসল : --পাট, কার্পাস এবং তার সঙ্গে চা, কফি, রবার প্রভৃতি বাগিচা ফসলগুলিও অর্থকরী ফসলের অন্তর্গত।

 

 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

বাগিচা ফসল কাকে বলে? ভারতে উৎপন্ন বাগিচা ফসলগুলির নাম লেখো।

উত্তর --প্রধানত বাগান তৈরি করে পরিকল্পনামাফিক সারিবদ্ধভাবে চারাগাছ রোপণের মাধ্যমে যেসব ফসলের চাষ করা হয় এবং যাদের থেকে বহুদিন ধরে ফলন পাওয়া যায়, তাদের বাগিচা ফসল বলে।

 বৈশিষ্ট্য –1.  এইপ্রকার ফসল চাষে প্রাথমিক ব্যয় বেশি হলেও পরবর্তী উৎপাদন ব্যয় খুব কম।

2.  মূলত ঔপনিবেশিকদের দ্বারা ভারতে বাগিচা ফসল উৎপাদন শুরু হয়।

3.  উন্নত কৃষি-পরিকাঠামো ব্যবহার করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এই ফসল উৎপাদন করা হয়।

 ভারতের বাগিচা ফসলঃ-- চা, কফি, রবার, সিঙ্কোনা, তুঁত, বিভিন্ন প্রকার ফল প্রভৃতি।


DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

ভারতের কৃষিতে খাদ্যশস্যের প্রাধান্য দেখা যায় কেন?

উত্তর --ভারতের কৃষিতে খাদ্যশস্যের প্রাধান্য দেখা যায়। এদেশে কৃষিকাজের মাধ্যমে ধান, গম, জোয়ার, বাজরা, ডাল, তৈলবীজ প্রভৃতি খাদ্যশস্য প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। 

এর কারণগুলি হল1. ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ। এই বিপুল জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা কৃষিকাজের মাধ্যমেই পূরণ করতে হয়। তাই ভারতে কৃষিকাজের মাধ্যমে খাদ্যশস্য উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হয়।  

2. ভারতে জনসংখ্যার প্রবল চাপে কৃষিজমির পরিমাণ ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। তাই এই অল্প পরিমাণ কৃষিজমি থেকে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে হয় বলে অন্য ফসল চাষের জন্য নিয়োজিত জমির পরিমাণ নগণ্য।

 

 খারিফ শস্য কাকে বলে?

উত্তর-- ভারতে গ্রীষ্মকালের শেষভাগে, অর্থাৎ বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনের সঙ্গে সঙ্গে যেসব ফসল চাষ করা হয়, সেগুলিকে খারিফ শস্য বলে এবং এই শস্য চাষের সময়কালকে খারিফ মরশুম বলে।

 বৈশিষ্ট্য –1. এই শস্য চাষে অধিক উয়তা ও বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয়।

2.  প্রধানত বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করে এই শস্য চাষ করা হয় বলে জলসেচের খুব একটা প্রয়োজন হয় না।

3. এই শস্য সাধারণত জুন মাসে (বর্ষাকালে) চাষ করা হয় এবং হেমন্তকালের শেষে বা শীতের শুরুতে কাটা হয়।

 উৎপন্ন ফসল: --ধান, পাট, কার্পাস, ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা, তিল, চিনাবাদাম প্রভৃতি।

 

DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com

 জায়িদ শস্য কাকে বলে?

উত্তর --ভারতে গ্রীষ্মকালের শুরুতে বা শীতের শেষভাগে যেসব ফসলের চাষ করা হয় এবং বর্ষার আগে যেসব ফসল তোলা হয়, তাদের জায়িদ শস্য বলে।

বৈশিষ্ট্য :-- 1. এইসব ফসল অধিক উয়তা সহ্য করতে পারে।

 2. ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এই ফসলের চাষ করা হয় এবং মে-জুন মাসে ফসল তোলা হয়। এইপ্রকার ফসলের চাষ কিছুটা জলসেচ এবং কিছুটা কালবৈশাখী বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভরশীল।

উৎপন্ন ফসল --আউশ ধান, বাদাম, পাট, শাকসবজি প্রভৃতি।

 


 ভারতে কোন কোন পদ্ধতিতে ধান চাষ হয়?

উত্তর --ভারতে প্রধানত দুটি পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয়ে থাকে। যথা

রোপণ পদ্ধতি-- এই পদ্ধতিতেই ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে ধান চাষ করা হয়। এই পদ্ধতিতে প্রথমে ধানের চারা তৈরি করে নিয়ে ধানের চাষের জন্য নির্দিষ্ট জমিতে নির্দিষ্ট তফাতে লাইন করে ধানচারা রোপণ করা হয়।

বপন পদ্ধতিএই পদ্ধতিতে ভারতে ধান চাষ প্রায় উঠে গেছে। শুধুমাত্র দু-এক জায়গায় এই পদ্ধতিতে আউশ ধান চাষ করা হয়। এই পদ্ধতিতে কর্ষণ করা চাষের জমিতে বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ওই বীজ থেকে চারাগাছ বের হয় এবং ধান উৎপন্ন হয়। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে ঝুম চাষ পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয়।

 DIPENDU  MONDAL

geographywithdip.blogspot.com


ধান চাষে কীরুপ জলবায়ুর প্রয়োজন হয়?

উত্তর--- ধান ক্রান্তীয় জলবায়ুর ফসল এবং ভারতে বেশিরভাগ ধান খারিফ শস্যরূপে চাষ করা হয়। তাই উয়-আর্দ্র জলবায়ু ধান চাষের পক্ষে আদর্শ। ধান চাষের জন্য যেরূপ জলবায়ুগত অবস্থার প্রয়োজন হয়

সেগুলি হলসাধারণভাবে ধান চাষের জন্য গড়ে 16°C-30°C উয়তার প্রয়োজন। চাষের জন্য 100-200 সেমি বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রয়োজন। ও ধান রোপণের সময় অধিক আর্দ্রতার (৪০%-এর বেশি) প্রয়োজন হয়।  ধানের চারা বৃদ্ধির সময় প্রচুর সূর্যালোকের প্রয়োজন হয়। আবার ধান পাকার সময় ও তোলার সময় রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ার প্রয়োজন।

 


ভারতে ধান চাষ শ্রমনিবিড় কেন?

উত্তর --ভারতের অধিকাংশ কৃষক প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে তাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন। তাই আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ধান চাষ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ধান চাষের অধিকাংশ কাজ, যেমনজমি প্রস্তুত করা,  ধানের চারা রোপণ করা,  আগাছা নিড়ান দেওয়া,  ফসল কাটা, ফসল ঝাড়াই করা প্রভৃতি সব কাজই পশুশক্তি ও দৈহিক শ্রমের দ্বারা সম্পাদন করতে হয়। তাই ভারতে ধান চাষ শ্রমনিবিড়।

 

দক্ষিণ ভারতে ইক্ষু উৎপাদন কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর --দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ইক্ষু চাষের অনুকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও ইক্ষু উৎপাদনের পরিমাণ অনেক কম। কারণগুলি হলএই অঞ্চলে বিভিন্ন রাজ্যের নদী উপত্যকাগুলিতে খাদ্যশস্যের চাষ বেশি হয়। কারণ এই অঞ্চলে খাদ্যশস্যের চাহিদা প্রচুর। এজন্য ইক্ষু চাষের জন্য পর্যাপ্ত জমি পাওয়ার অসুবিধা রয়েছে। ও দক্ষিণ ভারতের উপকূল অঞ্চল ছাড়া মালভূমি অংশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম। জলসেচের মাধ্যমে ইক্ষু চাষে চাষিরা আগ্রহী নয়। দক্ষিণ ভারতের খাদ্যশস্য ছাড়া বেশিরভাগ জমিতে অধিক লাভজনক চিনাবাদাম, তামাক প্রভৃতির চাষ বেশি হয়। দক্ষিণ ভারতের পূর্ব উপকূল সমভূমি অঞ্চলে প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়। এতে ইক্ষু গাছের বিশেষ ক্ষতি হয়।


ভারতে চা শিল্পকেন্দ্রগুলি চা বাগিচার মধ্যেই গড়ে উঠেছে কেন?

উত্তর --চা শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হল চা পাতা। এই চা পাতা হল অবিশুদ্ধ শ্রেণির কাঁচামাল। তা ছাড়া চায়ের স্বাদ ও গন্ধ নির্ভর করে চায়ের পাতায় উপস্থিত তেলকণা ও ট্যানিক অ্যাসিড বা থিয়েন-এর পরিমাণের ওপর এবং সেই সঙ্গে চা প্রক্রিয়াকরণের সময় সচেতনতার ওপর। ফলে চা বাগিচা থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে চা পাতা বহন করে নিয়ে গিয়ে চা শিল্পকেন্দ্র গড়ে তুললে চায়ের স্বাদ ও উৎকর্ষতা কমে যায়। সেই কারণে ভারতে চা বাগিচার মধ্যেই সম্পূরিত শিল্পব্যবস্থার মাধ্যমে চা-কে প্রক্রিয়াকরণ ও শিল্পজাত পণ্যে রূপান্তরিত করা হয়।

 


কার্পাস ও ইক্ষু চাষের পক্ষে সমুদ্রবায়ু উপযোগী কেন?

উত্তর --কার্পাস ও ইক্ষু চাষের পক্ষে সমুদ্রবায়ু উপযোগী, কারণ—  সামুদ্রিক লোনা বায়ুর সংস্পর্শে কার্পাস গাছ ভালো হয়। গাছ বেড়ে ওঠা এবং গুটিফল ধরার সময় লোনা বায়ু বিশেষ হিতকর। শুধু তাই নয় সামুদ্রিক লোনা বায়ু কার্পাস গাছ থেকে গুটিফল ঝরে যাওয়াকে বাধা দেয় এবং বল উইভিল পোকার আক্রমণ থেকে কার্পাস গাছকে অনেকাংশে রক্ষা করে। ও সামুদ্রিক লোনা বাতাস ইক্ষু গাছকে সতেজ করতে যেমন সাহায্য করে তেমনি সামুদ্রিক লোনা বাতাসের কারণে ইক্ষু গাছ পুষ্ট হয় এবং তাতে রসের পরিমাণ ও রসে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

 

সোনালি পানীয়' কাকে বলে এবং কেন বলে?

উত্তর --চা সোনালি পানীয় নামে পরিচিত। কারণ-- চা পশ্চিমবঙ্গের প্রধান অর্থকরী ফসল। চা উৎপাদন ও বিক্রয়/রপ্তানির ওপর পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি বহুলাংশ  নির্ভরশীল। চা বিক্রয়/রপ্তানি করে পশ্চিমবঙ্গ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গের এই অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী পানীয় ফসল চা-কে সোনালি পানীয় বলে।


আরো ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পড়ুন - ভূগোল সুফলম , দশম শ্রেণী -- সিতাংশু শেখর ভট্টাচার্য এবং শান্তনু মন্ডল -- কথা ও কাহিনী প্রকাশনী